সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে প্রাথমিক স্তরের শতভাগ বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছানো হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের ৯৫ শতাংশ বই পৌঁছাবে শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শনিবার, ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে বই দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার, ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর দুই মন্ত্রণালয়ই দাবি করেছে, গত দুই বছরের চেয়ে এবার অপেক্ষাকৃত ভালো বই দেওয়া হচ্ছে। মানসম্মত বইয়ের মধ্যে যদি বাতিল বই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তবে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দুই মন্ত্রণালয়।
সঠিক সময়ে বই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল গত কয়েক দিন। প্রাথমিকের বই আগেই প্রস্তুত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। মাধ্যমিকের সব বই ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পৌঁছে যাবে, এমনটাই জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
মূদ্রণ প্রতিষ্ঠানগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রাথমিকের সব বই উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে। সামান্য কিছু বই শনিবার, ১ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছে যাবে।
এ বিষয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিতরণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. সাইদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকের সব বই উপজেলা পর্যায়ে আগেই পৌঁছে গেছে। শুক্রবারের (৩১ ডিসেম্বর) মধ্যে ৯৫ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাবে। কিছু বাকি থাকলে সেগুলোও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছে যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম চলবে পুরো জানুয়ারি জুড়ে। পাঠদান শুরু হবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এর ২০ দিন আগেই মাধ্যমিকের সব বই পৌঁছে যাবে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ শিক্ষাবর্ষের জন্য এবার ৩৪ কোটি ৭০ লাখ ২২ হাজার ১৩০ কপি পাঠ্যবই ছাপা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রাথমিক স্তরের বই ছাপা হচ্ছে ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৭৪ কপি। এর মধ্যে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক ও ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রণীত পাঠ্যপুস্তকও রয়েছে।